মরাঘরে নেগাচার ও চড়ক পরব

মরাঘরে নেগাচার ও চড়ক পরব
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
বুঢ়াবাপের উড়া ফুরাঞ গেল রে
গঁগাজল, হলৈদ মাখা মাখি
ঢেলকা জাঁকাজাকি - এই বোলটি
পরিষ্কার প্রমান করে যে চড়ক
আসলে আদিপিতার
মৃত্যুবার্ষিকি উদযাপন।
1) চড়ক কথাটির উত্পত্তি
কুড়মালি চড়কা শব্দ থেকে,
মরাঘরে ঘাটুয়াল এবং চড়কের
ভগতাদের শ্রদ্ধার প্রতিক চড়কা
(বাংলা অর্থ সাদা) পোশাক
পরতে দেখা যায়।
2) কেউ মারা গেলে তাঁকে প্রথমে
তুলসী পিঁঢ়ার সামনে এনে গায়ে
তেল হলুদ মাখিয়ে সাদা পোশাখ
পরিয়ে ধূপ ফুল ইত্যাদি দিয়ে
শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়। মৃত
ব্যাক্তি নেতৃস্থানীয় হলে
বসতিও ঘোরানো হয়। অনুরূপে
গাজনে আদিপিতার নকল মরদেহ
পট তৈরী করে প্রতিটি বাড়ির
তুলসী পিঁড়ার কাছে এনে পূজা
করা হয়।
3) মৃত ব্যাক্তির সন্তানস্থানীয়
ব্যক্তিগন শান্তিক্রিয়ার আগে
পর্যন্ত তেল মাখেনা, মশলা
বিহীন সেদ্ধ খাবার খায়, হতে
রাখে লোহা, আসনে বসেনা। ঠিক
তেমনি চড়কের ভগতারাও ব্রত
পালন করে।
4) ঘাটসিনানের আগের রাতে
ঘাটুয়ালরা এবং ঘাটফড়ের আগের
রাতে ভগতারা হব্বিস করে আহার
করেন।
5) ঘাটস্নানের পর ঘাটুয়ালরা
তুলসী পিঁঢার চারদিকে
আড়াইপাক ঘুরে মৃতব্যাক্তির
শয়নস্থানে জল দেয়। তেমনি
ঘাটফড়ের দিনে স্নান করে এসে
শিবশিলায় জল দেওয়া হয়।
6) মরাঘরে মৃতের শ্মরনার্থে
জাগর জ্বালা হয়, অনুরূপেই
দেখাযায় চড়কেও
মারাত্মক ভুল হয় মরাঘরে
বৈষ্টমকে দিয়ে কির্তন করালে।
কৃতজ্ঞতাঃ চারিয়ান দা



No comments