জঙ্গলমহলে আদিবাসীদের মধ্যে ভ্রাতৃঘাতি দাঙ্গা সৃষ্টির চক্রান্ত করছে একটি ভূমিহারা রাজনৈতিক দল৷
জঙ্গলমহলে আদিবাসীদের মধ্যে ভ্রাতৃঘাতি দাঙ্গা সৃষ্টির চক্রান্ত করছে একটি ভূমিহারা রাজনৈতিক দল৷
কি এই দাঙ্গা? কার লাভ দাঙ্গা সৃষ্টি করে?
বিষয় টি বহু গভীর ভাবে চিন্তা করা প্রয়োজন৷
ঝাড়গ্রামের মাননীয়া সাংসদ উমা সরেন মহাশয়া জেনেভাতে বলতে পারলেন কুড়মি জাতি বঞ্চিত অথচ সংসদ সভাতে কুড়মি জাতিকে পুনরায় এস.টি. তালিকাভূক্ত করার কথা বলেন নাই, পটভূমি টি মোটামুটি এই রকমের৷
এতেই জ্বলন ঢুকেছে কিছু রাজনীতি আশ্রিত দুষ্কৃতির৷ মাননীয়া সাংসদের বক্তব্য কে ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে সাঁওতাল, মুন্ডা, ভূমিজ প্রভৃতি আদিবাসী সম্প্রদায়ের অশিক্ষিত বা অর্ধশিক্ষিত আদিবাসীদের মধ্যে গুজব ছড়ানো চলছে যে, কুড়মি (মাহাত) জাতি আসলে হিন্দু ক্ষত্রিয়!!! কখনো এমনও প্রকাশ্যে বলা চলছে যে কুড়মি আর কুর্মী ক্ষত্রিয় একই৷
কি অদ্ভুত সব ব্যাপার!!!!!
এর মধ্যে উমা সরেন মহাশয়ার কুশপুতুল পর্যন্ত দাহ করা হয়ে গেল।
কিন্তু বাস্তবেই কি কুড়মি জাতি আদিবাসী নয়???
দেখে নেওয়া যাক,
".......... চম্পা ধাবিচ্ আলে আর মুন্ডাকো, বিরহডকো, কুঁডবিকো এমানতেনকো খারওয়ার ঞুতুম তেলে বিকাউঃক কান তাঁহেকানা...........৷" (চম্পা পর্যন্ত সাঁওতাল, মুন্ডা, বিরহড, কুড়মি আরও অনেকেই খেরওয়াল নামে অবিহিত হতো।) একথা বলেছেন পন্ডিত কোলেয়ান হাড়াম তাঁর "হড় রেন মারে হাপড়াম কো রেয়াঃ কাথা" গ্রন্থে৷ কথাটি কোনো ইংরেজ পন্ডিতের নয়৷ আদিবাসী পুরাণ গুলি সব সময়েই কুড়মি জাতিকে খেরওয়াল বংশের বড় সন্তান হিসেবে উল্লেখ করে আসছে।
তাহলে এই হিন্দু বা ক্ষত্রিয় "ডাহনী" এলো কথা থেকে???
বিষয় টা আরও রহস্যাবৃত, যার ইতিহাস উদ্ঘাটন করতে হলে পৃথক নির্বাচন, সাম্প্রদায়িক বাঁটোআরা, পুনা চুক্তিতে আলোকপাত করতে হয়৷
......উনবিংশ শতকের প্রথমার্ধে ব্রিটিশ শাসিত ভারতে যখন মুসলিম সংগঠন গুলো বার বার প্রমাণ করছিল যে, সাঁওতাল, মুন্ডা, ভূমিজ, কুড়মি, হাড়ি, ডোম, চন্ডাল ইত্যাদি ইত্যাদি কেউ হিন্দু নয়, সংখ্যা অনুপাতে আইন সভায় মুসলমানদের বেশি প্রতিনিধি থাকা উচিত। শঙ্কিত হয়ে উঠে দেশের তথাকথিত উচ্চবর্ণীয় রা৷
ইতি মধ্যেই অনুষ্ঠিত হয় গোলটেবিল বৈঠক৷ বাবা সাহেব আম্বেদকরের প্রতিনিধিত্ব ভারতীয় বঞ্চিত জাতিদের আশার আলো দেখায়৷
"14th August 1932 ব্রিটিশ প্রধান মন্ত্রী এ্যাওয়ার্ড ঘোষণা করেন, অস্পৃশ্য দের জন্য স্বতন্ত্র আসন, দ্বৈত (ডবল) ভোটের অধিকার, যার বলে তারা নিজস্ব প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারবে আবার ভোট দিতে পারবে সাধারণ কেন্দ্র গুলিতেও৷"
আরও আতঙ্কিত হয়ে উঠলো উচ্চবর্ণীয়রা!! ক্রমে 24th September 1932 পুনা চুক্তি এবং বর্তমানের আদিবাসী ও মুলনিবাসীদের চামচাগিরির যুগ শুরু৷
পটভূমি টা এইরূপ হওয়ার কারণে উচ্চবর্ণীয়রা চাইছিলেন বেশ কিছু তথাকথিত নীচু জাতিকে উচ্চ জাতি ঘোষণা করে নিজেদের দল ভারি করা হোক৷
সালটা 1334 বঙ্গাব্দ, 22 এবং 23 শা চৈত্র চেমেংজুডিতে "সাঁওতাল জাতীয় সমাজ সংস্কার বিষয়ক দেশ বিষয়গনের বিরাট সভার" এগ্রিমেন্ট-এ কালিকাপুর, দামপাডা, শিলদা, বহডাগুডা, কুচংপীড, পডিহাটি, পাওডা, আসনবনী, ময়ূরভঞ্জ, ডুমরাপী, হলুদপুকুর, পাড়া হাট, ডামরাপী, প্রভৃতির তরফে সাঁওতালদের মাঝি পরগনা সিদ্ধান্ত সহ ঘোষণা করেন, "সাঁওতাল রা জাতিতে ক্ষত্রিয় লিখবেন এবং পদবী 'রায়' লিখবেন৷ বিবাহ উপলক্ষে বা পরবে নাচগান করবেন না।"
এ ছিল দক্ষিণ বঙ্গের সাঁওতালদের উচ্চ জাতি হওয়ার কথা৷ এখনও বহু সাঁওতাল পদবী 'রায়' লিখে চলেছেন৷ উত্তর বঙ্গে সাঁওতালদের হিন্দুত্বকরন শুরু হয় আরও আগে, সালটা 1927 মালদহে জিতু সাঁওতাল (হেমরম) দিনাজপুরের উকিল কাশীশ্বর চক্রবর্তীর প্ররোচনায় হিন্দু ভাবাপন্ন "সত্যম শিবম্" ধর্ম প্রচার করেন। ধর্মীয় রূপ রাজনৈতিক আন্দোলনের দিকে মোড় নেয়৷ জিতু সাঁওতাল পান্ডুয়ার আদিনা মসজিদ দখল করতে চাইলে 14th December 1932 মসজিদে গুলি করে মারা হয়৷
এ ছিল সাঁওতালদের হিন্দু হওয়ার কিছু কথা, বর্তমানে তারা খৃস্টানও হয়েছে৷
এই সাঁওতাল সম্প্রদায়ের রাজনৈতিক ব্যক্তিদের উসকানিতে মুন্ডা এবং ভূমিজরাও কুড়মি জাতির এস.টি. তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার বিরোধিতা করছে৷
1935 সালে বামবির তরফ সরদার দীনবন্ধু সিং তরফের 59টি গ্রামবাসীদের নিয়ে চেলিয়ামা গ্রামে "মানভূম ভূমিজ ক্ষত্রিয় সমিতির" সম্মেলন ডাকেন৷ দু'হাজারের অধিক ভূমিজ সম্মেলনে হাজির হয়৷ একজন তিওয়ারী ও একজন পান্ডা ব্রাহ্মণকে ওড়িশা থেকে আমন্ত্রণ করে আনা হয়, বক্তব্যে দীনবন্ধু সিং বলেন "আমরা নাকি হিন্দু শাস্ত্র লঙ্ঘন করছি, আমাদের হাঁড়িয়া-মদ ছাড়তে হবে, হিন্দু ধর্মাচরন করতে হবে। সম্মেলনে সিদ্ধান্ত হয়, "ভূমিজরা গরু দিয়ে লাঙ্গল টানাবে না। সারুল পরবে ধরাধরি করে নাচবে না। বিয়ে ও শ্রাদ্ধে ব্রাহ্মণ বা বৈষ্ণব গুরু দিয়ে মন্ত্র পড়াবে ও সম্পন্ন করাবে৷ ধর্ম শাস্ত্র রামায়ণ মহাভারত পডার জন্য লেখা পড়া করবে। বঙ্গাব্দ 1360 সালের 26ও 27শা চৈত্র চান্ডিল থানার কেতুঙ্গা হাইস্কুল প্রাঙ্গনে ভূমিজ ক্ষত্রিয় দের অনুরূপ সভা হয়৷ সভাপতি ছিলেন কিশোরী মোহন সিং
আর মুন্ডা সমাজের খোদ বীরসা মুন্ডা বৈষ্ণব গুরু আনন্দ পাঁডের কাছে দীক্ষিত ছিলেন৷ পরে খৃস্টান ধর্মও অনুসরণ করেছেন৷
এই সবের পরেও সাঁওতাল, ভূমিজ, মুন্ডারা এস.টি. হিসেবে সংরক্ষণ ভোগ করছে ইংরেজ স্বাসন মুক্ত ভারতে৷ অথচ কুড়মি জাতি এস.টি. তালিকায় ছিল ব্রিটিশ শাসিত ভারতে৷
আমরা রাজনৈতিক দাঙ্গা, ধর্মীয় দাঙ্গা দেখেছি এবার বোধহয় সাঁওতাল ও কুড়মির মধ্যে জাতি দাঙ্গা হবে। আরও কয়েকটা লালগড, আমলাশূলি সৃষ্টি হবে। বাঁগাল পরিচালিত উপনিবেশ তৈরী হবে।
.......... আমরা চাই জঙ্গল মহলে পঞ্চম ও ষষ্ঠ তফসিলি লাগু হোক৷ তা সম্ভব একমাত্র কুড়মি জাতিকে পুনরায় এস.টি. তালিকাভুক্ত করার মাধ্যমে৷
------- -------
তথ্য কৃতজ্ঞতাঃ 1. ভারতবর্ষের সর্বশ্রেষ্ঠ বিপ্লবীর গল্প, পীযূষ কান্তি গায়েন৷
2. আদিবাসী জগৎ প্রবন্ধ সমগ্র,
3. মধ্য পূর্ব ভারতের আদিবাসী জীবন ও সংগ্রাম, মন্ডল হেমরম৷
বিশেষ কৃতজ্ঞতাঃ শিক্ষক Ranjit Kumar Mahato এবং Mrinal Kanti Mahata
কি এই দাঙ্গা? কার লাভ দাঙ্গা সৃষ্টি করে?
বিষয় টি বহু গভীর ভাবে চিন্তা করা প্রয়োজন৷
ঝাড়গ্রামের মাননীয়া সাংসদ উমা সরেন মহাশয়া জেনেভাতে বলতে পারলেন কুড়মি জাতি বঞ্চিত অথচ সংসদ সভাতে কুড়মি জাতিকে পুনরায় এস.টি. তালিকাভূক্ত করার কথা বলেন নাই, পটভূমি টি মোটামুটি এই রকমের৷
এতেই জ্বলন ঢুকেছে কিছু রাজনীতি আশ্রিত দুষ্কৃতির৷ মাননীয়া সাংসদের বক্তব্য কে ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে সাঁওতাল, মুন্ডা, ভূমিজ প্রভৃতি আদিবাসী সম্প্রদায়ের অশিক্ষিত বা অর্ধশিক্ষিত আদিবাসীদের মধ্যে গুজব ছড়ানো চলছে যে, কুড়মি (মাহাত) জাতি আসলে হিন্দু ক্ষত্রিয়!!! কখনো এমনও প্রকাশ্যে বলা চলছে যে কুড়মি আর কুর্মী ক্ষত্রিয় একই৷
কি অদ্ভুত সব ব্যাপার!!!!!
এর মধ্যে উমা সরেন মহাশয়ার কুশপুতুল পর্যন্ত দাহ করা হয়ে গেল।
কিন্তু বাস্তবেই কি কুড়মি জাতি আদিবাসী নয়???
দেখে নেওয়া যাক,
".......... চম্পা ধাবিচ্ আলে আর মুন্ডাকো, বিরহডকো, কুঁডবিকো এমানতেনকো খারওয়ার ঞুতুম তেলে বিকাউঃক কান তাঁহেকানা...........৷" (চম্পা পর্যন্ত সাঁওতাল, মুন্ডা, বিরহড, কুড়মি আরও অনেকেই খেরওয়াল নামে অবিহিত হতো।) একথা বলেছেন পন্ডিত কোলেয়ান হাড়াম তাঁর "হড় রেন মারে হাপড়াম কো রেয়াঃ কাথা" গ্রন্থে৷ কথাটি কোনো ইংরেজ পন্ডিতের নয়৷ আদিবাসী পুরাণ গুলি সব সময়েই কুড়মি জাতিকে খেরওয়াল বংশের বড় সন্তান হিসেবে উল্লেখ করে আসছে।
তাহলে এই হিন্দু বা ক্ষত্রিয় "ডাহনী" এলো কথা থেকে???
বিষয় টা আরও রহস্যাবৃত, যার ইতিহাস উদ্ঘাটন করতে হলে পৃথক নির্বাচন, সাম্প্রদায়িক বাঁটোআরা, পুনা চুক্তিতে আলোকপাত করতে হয়৷
......উনবিংশ শতকের প্রথমার্ধে ব্রিটিশ শাসিত ভারতে যখন মুসলিম সংগঠন গুলো বার বার প্রমাণ করছিল যে, সাঁওতাল, মুন্ডা, ভূমিজ, কুড়মি, হাড়ি, ডোম, চন্ডাল ইত্যাদি ইত্যাদি কেউ হিন্দু নয়, সংখ্যা অনুপাতে আইন সভায় মুসলমানদের বেশি প্রতিনিধি থাকা উচিত। শঙ্কিত হয়ে উঠে দেশের তথাকথিত উচ্চবর্ণীয় রা৷
ইতি মধ্যেই অনুষ্ঠিত হয় গোলটেবিল বৈঠক৷ বাবা সাহেব আম্বেদকরের প্রতিনিধিত্ব ভারতীয় বঞ্চিত জাতিদের আশার আলো দেখায়৷
"14th August 1932 ব্রিটিশ প্রধান মন্ত্রী এ্যাওয়ার্ড ঘোষণা করেন, অস্পৃশ্য দের জন্য স্বতন্ত্র আসন, দ্বৈত (ডবল) ভোটের অধিকার, যার বলে তারা নিজস্ব প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারবে আবার ভোট দিতে পারবে সাধারণ কেন্দ্র গুলিতেও৷"
আরও আতঙ্কিত হয়ে উঠলো উচ্চবর্ণীয়রা!! ক্রমে 24th September 1932 পুনা চুক্তি এবং বর্তমানের আদিবাসী ও মুলনিবাসীদের চামচাগিরির যুগ শুরু৷
পটভূমি টা এইরূপ হওয়ার কারণে উচ্চবর্ণীয়রা চাইছিলেন বেশ কিছু তথাকথিত নীচু জাতিকে উচ্চ জাতি ঘোষণা করে নিজেদের দল ভারি করা হোক৷
সালটা 1334 বঙ্গাব্দ, 22 এবং 23 শা চৈত্র চেমেংজুডিতে "সাঁওতাল জাতীয় সমাজ সংস্কার বিষয়ক দেশ বিষয়গনের বিরাট সভার" এগ্রিমেন্ট-এ কালিকাপুর, দামপাডা, শিলদা, বহডাগুডা, কুচংপীড, পডিহাটি, পাওডা, আসনবনী, ময়ূরভঞ্জ, ডুমরাপী, হলুদপুকুর, পাড়া হাট, ডামরাপী, প্রভৃতির তরফে সাঁওতালদের মাঝি পরগনা সিদ্ধান্ত সহ ঘোষণা করেন, "সাঁওতাল রা জাতিতে ক্ষত্রিয় লিখবেন এবং পদবী 'রায়' লিখবেন৷ বিবাহ উপলক্ষে বা পরবে নাচগান করবেন না।"
এ ছিল দক্ষিণ বঙ্গের সাঁওতালদের উচ্চ জাতি হওয়ার কথা৷ এখনও বহু সাঁওতাল পদবী 'রায়' লিখে চলেছেন৷ উত্তর বঙ্গে সাঁওতালদের হিন্দুত্বকরন শুরু হয় আরও আগে, সালটা 1927 মালদহে জিতু সাঁওতাল (হেমরম) দিনাজপুরের উকিল কাশীশ্বর চক্রবর্তীর প্ররোচনায় হিন্দু ভাবাপন্ন "সত্যম শিবম্" ধর্ম প্রচার করেন। ধর্মীয় রূপ রাজনৈতিক আন্দোলনের দিকে মোড় নেয়৷ জিতু সাঁওতাল পান্ডুয়ার আদিনা মসজিদ দখল করতে চাইলে 14th December 1932 মসজিদে গুলি করে মারা হয়৷
এ ছিল সাঁওতালদের হিন্দু হওয়ার কিছু কথা, বর্তমানে তারা খৃস্টানও হয়েছে৷
এই সাঁওতাল সম্প্রদায়ের রাজনৈতিক ব্যক্তিদের উসকানিতে মুন্ডা এবং ভূমিজরাও কুড়মি জাতির এস.টি. তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার বিরোধিতা করছে৷
1935 সালে বামবির তরফ সরদার দীনবন্ধু সিং তরফের 59টি গ্রামবাসীদের নিয়ে চেলিয়ামা গ্রামে "মানভূম ভূমিজ ক্ষত্রিয় সমিতির" সম্মেলন ডাকেন৷ দু'হাজারের অধিক ভূমিজ সম্মেলনে হাজির হয়৷ একজন তিওয়ারী ও একজন পান্ডা ব্রাহ্মণকে ওড়িশা থেকে আমন্ত্রণ করে আনা হয়, বক্তব্যে দীনবন্ধু সিং বলেন "আমরা নাকি হিন্দু শাস্ত্র লঙ্ঘন করছি, আমাদের হাঁড়িয়া-মদ ছাড়তে হবে, হিন্দু ধর্মাচরন করতে হবে। সম্মেলনে সিদ্ধান্ত হয়, "ভূমিজরা গরু দিয়ে লাঙ্গল টানাবে না। সারুল পরবে ধরাধরি করে নাচবে না। বিয়ে ও শ্রাদ্ধে ব্রাহ্মণ বা বৈষ্ণব গুরু দিয়ে মন্ত্র পড়াবে ও সম্পন্ন করাবে৷ ধর্ম শাস্ত্র রামায়ণ মহাভারত পডার জন্য লেখা পড়া করবে। বঙ্গাব্দ 1360 সালের 26ও 27শা চৈত্র চান্ডিল থানার কেতুঙ্গা হাইস্কুল প্রাঙ্গনে ভূমিজ ক্ষত্রিয় দের অনুরূপ সভা হয়৷ সভাপতি ছিলেন কিশোরী মোহন সিং
আর মুন্ডা সমাজের খোদ বীরসা মুন্ডা বৈষ্ণব গুরু আনন্দ পাঁডের কাছে দীক্ষিত ছিলেন৷ পরে খৃস্টান ধর্মও অনুসরণ করেছেন৷
এই সবের পরেও সাঁওতাল, ভূমিজ, মুন্ডারা এস.টি. হিসেবে সংরক্ষণ ভোগ করছে ইংরেজ স্বাসন মুক্ত ভারতে৷ অথচ কুড়মি জাতি এস.টি. তালিকায় ছিল ব্রিটিশ শাসিত ভারতে৷
আমরা রাজনৈতিক দাঙ্গা, ধর্মীয় দাঙ্গা দেখেছি এবার বোধহয় সাঁওতাল ও কুড়মির মধ্যে জাতি দাঙ্গা হবে। আরও কয়েকটা লালগড, আমলাশূলি সৃষ্টি হবে। বাঁগাল পরিচালিত উপনিবেশ তৈরী হবে।
.......... আমরা চাই জঙ্গল মহলে পঞ্চম ও ষষ্ঠ তফসিলি লাগু হোক৷ তা সম্ভব একমাত্র কুড়মি জাতিকে পুনরায় এস.টি. তালিকাভুক্ত করার মাধ্যমে৷
------- -------
তথ্য কৃতজ্ঞতাঃ 1. ভারতবর্ষের সর্বশ্রেষ্ঠ বিপ্লবীর গল্প, পীযূষ কান্তি গায়েন৷
2. আদিবাসী জগৎ প্রবন্ধ সমগ্র,
3. মধ্য পূর্ব ভারতের আদিবাসী জীবন ও সংগ্রাম, মন্ডল হেমরম৷
বিশেষ কৃতজ্ঞতাঃ শিক্ষক Ranjit Kumar Mahato এবং Mrinal Kanti Mahata
Post a Comment